আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংসদে হাসিনার পাশেই বসছেন তোফায়েল মতিয়া

আওয়ামী লীগ সরকারের এবারের মেয়াদে মন্ত্রিত্ব না পেলেও জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশেই বসছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী।

গত সংসদের মতোই প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসবেন তারা। বর্ষীয়ান এইসব সাংসদ মন্ত্রিত্ব হারালেও হারাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রীর পাশের আসন। এসব আসন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে।

আজ বুধবার বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হচ্ছে। আর এ উপলক্ষে সংসদের অধিবেশন কক্ষে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের আসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা একদিকে আসন পাচ্ছেন। মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর পেছনের সারিতে রাখা হচ্ছে। তাদের পেছনে বসবেন প্রতিমন্ত্রীরা।

এ ছাড়া কে, কতবার নির্বাচিত হয়েছে, দলীয় পদ, সাবেক মন্ত্রী, জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-এসব বিবেচনা করে আসন বিন্যাস করা হয়েছে এবার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘যারা সিনিয়র নেতা ছিলেন, যারা মন্ত্রী হননি প্রথম সারিতে তারা থাকবেন। সেখানে পরিবর্তন হচ্ছে না। সংসদ নেতার পেছনে মন্ত্রীদের দিলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সুবিধা হয়। উনি নির্দেশনা দিতে পারেন। আমরা এবার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রীর পেছনে মন্ত্রীদের দিতে। তাদের পেছনে প্রতিমন্ত্রীদের।’

জানা যায়, দশম সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্পিকারের আসনের সামনের দিকে বসলেও এবার তার আসন পরিবর্তন হচ্ছে। তাকে প্রধানমন্ত্রীর ডানদিকে আনা হচ্ছে। প্রথম সারিতে সৈয়দ আশরাফের আসনে এবার বসছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। আগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আসনে আসছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পেছনের আসনে বসবেন নতুন প্রধান হুইপ। তার পাশে আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী।

গত ৩ জানয়ারি সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চার ধাপে এমপিরা শপথ নেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথ গ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে অন্যদের শপথ বাক্য পাঠান করান।

এ ছাড়া বিএনপির ৬ জন ও ঐক্যফ্রন্টের ২ জন শপথ নেননি। সুতরাং এখনই সংসদের যোগ দিতে পারছেন না তারা।